: আলমডাঙ্গার কলেজ মোড়ের ‘জিসান টাওয়ার’র পঞ্চমতলায় গড়ে ওঠা রঙ্গশালায় পুলিশ অবশেষে অভিযান চালিয়েছে। ২১ জানুয়ারি শনিবার রাতে পুলিশ অভিযান চালিয়ে রঙ্গশালার মক্ষিরানীসহ দুই যুবতীকে আটক করেছে। এ সময় রঙ্গশালায় আনন্দ নিতে আসা আরজ নামের এক যুবক পুলিশের চোখ ফাঁকি দিয়ে পালিয়ে যায়। স্থানীয়রা দীর্ঘদিন ধরে জিসান টাওয়ারে সংঘটিত নারী ব্যবসার অভিযোগ করে আসছিলেন। কিন্ত বাড়ির দেখভালের দায়িত্বে থাকা হাসমত আলীর বিরুদ্ধে টাওয়ারের পঞ্চমতলায় রঙ্গশলীলা প্রচ্ছন্ন সহযোগীতার অভিযোগ করেছেন অনেকে।
স্থানীয়রা জানান, উপজেলার খেজুরতলা গ্রামের ইতালী প্রবাসী মখলেছুর রহমান হিয়া কলেজ মোড়ে জিসান টাওয়ার নামের একটি বহুতল ভবন নির্মান করেন। ভবনটি দেখভালের দায়িত্ব পান তার শ্বশুর হাসমত আলী। তিনি বহুল আলোচিত মর্জিনা বেগমকে ভবনের পঞ্চম তলা ভাড়া দেন। এখানেই গড়ে তোলা হয়েছে রঙ্গশালা। দিনে অথবা রাতে নারী-পুরুষ অবাধে মিলিত হয় পঞ্চম তলায়।
এই পঞ্চম তলাকে ঘিরে একটি চক্রও গড়ে উঠেছে। চক্রের সদস্যরা নারীর সঙ্গ নিতে আগ্রহী পুরুষদের টাওয়ারের পঞ্চম তলায় উঠিয়ে দিয়ে আটক করে প্রতারনা করার অভিযোগ রয়েছে। এখানে মাঝেমধ্যেই ঘেরাও দেওয়ার ঘটনা ঘটে।
এ সব ঘটনা স্থানীয়দের মাঝে বিরূপ প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি করে। তারা হাসমত আলীকে একাধিকবার এবিষয়ে অভিযোগ দিলেও তিনি কর্নপাত করেননি বলে অভিযোগ তুলেছেন অনেকে। পঞ্চম তলায় রঙ্গলীলা চলতেই থাকে।
গত ২১ জানুয়ারি শনিবার রাতে ঘেরাও পার্টির সদস্যরা জিসান টাওয়ারে ঘেরাও করে। পুলিশ আসার আগেই রঙ্গলীলায় মত্ত থাকা আরজ আলী নামের এক যুবক পালিয়ে যায়। তবে তিন মহিলাকে আটক করে থানায় নেয় পুলিশ। তাদের গতকালই আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে।