চোরাই গরু ট্রাকে নিয়ে যাওয়ার সময় চুয়াডাঙ্গা জেলার আলমডাঙ্গা থানা পুলিশ আন্তঃজেলা গরুচোর সিন্ডিকেটের ৬ সদস্যকে আটক করেছে। এ সময় ৩টি চোরাই গরুসহ ১টি ট্রাক জব্দ করা হয়েছে। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ৭ এপ্রিল ভোরে পুলিশ মুন্সিগঞ্জ রেলগেট আটকে কৌশলে তাদেরকে আটক করেন।
আটককৃতরা হলেন – আলমডাঙ্গা উপজেলার বাদেমাজু গ্রামের নজরুল ইসলামের ছেলে ফারুক(৪০) হোসেন, নাগদা গ্রামের ওসমান বিশ্বাসের ছেলে বিল্পব হোসেন(২৯) কাবিলনগর গ্রামের মৃত জলিল মন্ডলের ছেলে জকিম উদ্দিন(৫০), দামুড়হুদা উপজেলা দামুড়হুদা গ্রামের আব্দুল কুদ্দুসের ছেলে শাহিন আলি (৩৫), চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার নফরকান্দি গ্রামের মসলেম আলীর ছেলে আলিম হোসেন (২৭) ও মোমিনপুর গ্রামের মুকুল আলীর ছেলে সোহাগ আলি (২৩)।
জানা যায়, আটক আন্তজেলা গরুচোর সিন্ডিকেটের সদস্যরা কুষ্টিয়া বটতলা এলাকা থেকে ট্রাকযোগে গরু চুরি করে চুয়াডাঙ্গা জেলার জীবননগর এলাকায় নিয়ে যাচ্ছিল। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে আলমডাঙ্গা থানার এসআই আমিনুল হক, এসআই কামরুল ইসলাম, এসআই সুফল কুমার বিশ্বাস, এএসআই কামরুজ্জামান, এএসআই খালিদ সঙ্গীয় ফোর্সসহ মুন্সিগঞ্জ রেলগেট এলাকায় বুধবার ভোরে অবস্থান নেয়। পুলিশ একটি ট্রাককে দাঁড়াতে সিগনাল দিলে গরু চোরচক্র ট্রাক নিয়ে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন। সে সময় রেলগেটের গেট ফেলে ট্রাকটি আটক করা হয়। পরে ট্রাক থেকে তিনটি চোরাই গরু উদ্ধার ও ট্রাকটি জব্দ করা হয়। আটক করা হয় ৬ গরু চোরকে।
উদ্ধারকৃত ৩টি গরু কুষ্টিয়া সদর উপজেলার জুগিয়া বাড়াদি গ্রামের এক কৃষকের । ওই কৃষক কুষ্টিয়া সদর থানায় মামলা দায়ের করেছে। সন্ধ্যা কুষ্টিয়া সদর থানা পুলিশ আলমডাঙ্গা থেকে উদ্ধারকৃত গরু, ট্রাক ও গরু চোর চক্রের ৬ সদস্যকে নিয়ে যায়।
আলমডাঙ্গা থানার ওসি আলমগীর কবীর বলেন, আন্ত:জেলা চোরচক্রের সদস্যরা দীর্ঘদিন ধরে চুয়াডাঙ্গাসহ পার্শ্ববর্তী জেলা থেকে ট্রাকযোগে গরু চুরি করে আসছিল। এ চোরচক্রের অন্য সদস্যদের গ্রেফতারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে। আটক গরুগুলো কুষ্টিয়া থেকে চুরি করে নিয়ে যাচ্ছিল।
অন্যদিকে, আলমডাঙ্গার পুঁটিমারী গ্রামের চিহ্নিত এক গরুচোর ও আসাননগরের এক লাটাহাম্বার চালকসহ ৩ জন আলোচিত গরুচোর গ্রেফতারের দাবি জানিয়েছেন এলাকাবাসি।
এদিকে, ৩১ মার্চ আলমডাঙ্গা শহরের কলেজপাড়া থেকে ৪ বছরের শিশু ফারফানকে অপহরণ করা হয়। এ অপহরণের মাত্র ৮ ঘন্টার মধ্যে শিশুটিকে জীবিত উদ্ধার করেন পুলিশ। গ্রেফতার করে ৫ অপহরকদের। এ ঘটনায় আলমডাঙ্গা পুলিশের প্রতি এলাকার মানুষ প্রশংসায় পঞ্চমুখ হন। প্রশংসায় ভাসতে থাকে পুলিশ।
এক সপ্তা পার হতে না হতে গরুচোর সিন্ডিকেট আটকের ঘটনায় আবারও প্রশংসিত হলেন আলমডাঙ্গা থানা পুলিশ।